What,s really happening in Nepal: আমাদের প্রতিবেশী দেশ নেপালের এই রাজনৈতিক এবং সামাজিক অস্থিরতার কারণ কি? আসুন জেনে নেই সংক্ষিপ্ত ভাবে। জেনে রাখা ভালো কারণ আমাদের রাজ্য তথা দেশেও এই রকম পরিস্থিতি হতে পারে তাই আমাদের সচেতন এবং রাজনৈতিক নেতাদের সাবধান হওয়া উচিত।নেপালের সাধারণ জনগণের বিদ্রোহের মূল কারণ হচ্ছে দুর্নীতি, বেকারত্ব, অর্থনৈতিক বৈষম্য ও ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক পরিবারের সদস্যদের অতি-প্রদর্শিত বিলাসিতার ওপর গণবিশ্বাসের ক্ষয়, এবং সম্প্রতি সরকার কর্তৃক সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধ করা—যা পরিস্থিতিকে আরও উত্তপ্ত করে তোলে।
What,s really happening in Nepal
দুর্নীতি ও নেপোটিজম: দেশের রাজনৈতিক নেতৃত্ব ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ দীর্ঘদিন ধরেই ছিল, তবে ‘Nepo Kids’ ইস্যু নিয়ে সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপক আলোচনার ফলে ক্ষোভ তীব্র হয়।
বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক সংকট: দেশে উচ্চ বেকারত্ব ও তরুণদের জন্য ভালো চাকরির সুযোগের অভাব জনগণের মধ্যে হতাশা বাড়িয়েছে।
সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধ(Social Media Banned): ৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫-এ সরকার ২৬টি সামাজিক মাধ্যম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দেয়, যার মাধ্যমে জনগণের মূল যোগাযোগ ও প্রতিবাদের মাধ্যম ছিনিয়ে নেওয়া হয়।
প্রশাসনিক দমন ও সহিংস প্রতিক্রিয়া: শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের ওপর পুলিশ ও সেনাবাহিনীর গুলিবর্ষণ ও কড়া দমননীতির ফলে প্রতিবাদ আরও সহিংস হয়ে ওঠে, যার কারণে ৩০ জনের বেশি নিহত ও শতাধিক আহত হয়েছেন।
Gen Z নেতৃত্ব: এই আন্দোলন কোনো নির্দিষ্ট একজন নেতার নেতৃত্বে নয়, বরং নেপালের Gen Z তরুণ-তরুণীরা সারা দেশজুড়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে যুক্ত হয়েছে।
প্রতীকী প্রতিবাদ: দুর্নীতি ও অভিসংশয়ের বিরুদ্ধে সোচ্চার হতে গিয়ে পার্লামেন্ট ভবন, রাজনৈতিক নেতাদের বাড়ি ও সরকারি সম্পত্তিতে অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর হয়।
সামরিক আইনের শাসন: পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী কড়া নিরাপত্তা ও কারফিউ জারি করেছে।
নেপালের তরুণ জনগণ সমাজের ন্যায্যতা, কর্মসংস্থান ও গণতান্ত্রিক অধিকার রক্ষার জন্য রাস্তায় নেমেছে—যার সূত্রপাত সামাজিক মাধ্যম নিষিদ্ধ হওয়া থেকে হলেও মূলত এটি বৃহত্তর অর্থনৈতিক ও সামাজিক বঞ্চনা থেকে উদ্ভূত ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ।
News and Current Affairs: What,s really happening in Nepal
Most Important Notes for upcoming Exams
Visited 1 times, 1 visit(s) today